বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
মোয়াজ্জেম হোসেন, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পটুয়াখালীর ২২ গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ উদযাপন করছে আগাম ঈদ।
এর মধ্যে কলাপাড়া উপজেলায় ১১ গ্রামের ১৫ হাজার চান টুপি অনুসারীরা এ আগাম ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। রবিবার সকাল পৌনে নয়টায় কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহ্সূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এই জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা মো.এমদাদ আলী। স্থানীয়ভাবে এরা চট্রগ্রামের এলাহাবাদ সুফিয়া ও চানটুপির অনুসারী হিসেবে পরিচিত। প্রায় ১০০ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদ পালন করে আসছেন তারা। কলাপাড়াসহ পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার ৪ গ্রামে, রাঙ্গাবালির ২ গ্রামে, গলাচিপার ৩ গ্রামে, দুমকির ২ গ্রামে ও বাউফল উপজেলার ৩ গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এসব গ্রামে সকাল থেকে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
চানটুপি অনুসারী পায়রা বন্দর কর্মকর্তা সেখুল আরেফিন বলেন, উপজেলার চালিতাবুনিয়া, গিলাতলা, ফুলতলী, পাঁচজুনিয়া ও ধানখালী দরবার শরীফের হাজারো অনুসারী প্রধান জামাতে অংশ নেন। পাশাপাশি, কলাপাড়া পৌর শহরের নাইয়াপট্টি,
উত্তর লালুয়া মাঝিবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে আরও আটটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিশানবাড়িয়া দরবার শরীফের পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন বিশ্বাস জানান, তারা চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের পশ্চিম এলাহাবাদ গ্রামের সিলসিলায়ে আলীয়া কাদরিয়া চিশতিয়া জাহাগিরিয়া তরিকতের অনুসারী। স্থানীয়ভাবে তাদের “চাঁন টুপির অনুসারী” নামে পরিচিত। তিনি আরও জানান, উপজেলার নিশানবাড়িয়া, গন্ডামারি, মরিচবুনিয়া, চালিতাবুনিয়া, ছইলাবুনিয়া, সেনের হাওলা,
পৌর শহরের নাইয়াপট্টি, বাদুরতলী, তেগাছিয়া, সাফাখালী, চরপাড়া, আজিমুদ্দিন গ্রামে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারের ১৫ হাজার মানুষ বসবাস করছেন। আজ তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করছেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া
৩০/০৩/২০২৫